Sunday, December 31, 2017

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিসের তৈরী


হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিসের তৈরী
♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤♤
প্রথমেই আমার  অনুরোধ পুরাই লেখা টি পড়ার জন্য  ।

এবং পুরাই লেখা না পড়ে কেউ আজেবাজে কমেন্ট করবেন না ।
এই আয়াতের প্রতি যদি বিশ্বাস  করতে না পারেন তাহলে   । মুসলিম থেকে  আপনার  নাম খাটা যাবে ।

♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡
هُوَ الَّذِىۡ خَلَقَكُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ ثُمَّ قَضٰىۤ اَجَلاً‌ؕ وَّاَجَلٌ مُّسَمًّى عِنۡدَهٗ‌ ثُمَّ اَنۡتُمۡ تَمۡتَرُوۡنَ‏﴾

 তিনিই তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। তারপর তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন জীবনের একটি সময়সীমা এবং আর একটি সময়সীমাও আছে, যা তাঁর কাছে স্থিরীকৃত, কিন্তু তোমরা কেবল সন্দেহেই লিপ্ত রয়েছে।

সূরা আনআম   আয়াত  ( ২ )
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثۡلُكُمۡ يُوۡحٰٓى اِلَىَّ اَنَّمَاۤ اِلٰهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ‌ۚ فَمَنۡ كَانَ يَرۡجُوۡا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلاً صَالِحًا وَّلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا

 হে মুহাম্মাদ! বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ‌ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।

সূরা কাহাফ আয়াত  ( ১১০)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
اِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلٰٓٮِٕكَةِ اِنِّىۡ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنۡ طِيۡنٍ‏﴾

 যখন তোমার রব ফেরশ্‌তাদেরকে বললো,আমি মাটি দিয়ে একটি মানুষ তৈরি করবো।

সূরা সোয়াদ আয়াত  ( ৭১)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇

وَمَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ اِلَّا رِجَالاً نُّوۡحِىۡۤ اِلَيۡهِمۡ‌ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَهۡلَ الذِّكۡرِ اِنۡ كُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ﴾

 আর হে মুহাম্মাদ! তোমার পূর্বেও আমি মানুষদেরকেই রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছিলাম, যাদের কাছে আমি অহী পাঠাতাম।  তোমরা যদি না জেনে থাকো তাহলে আহলে কিতাবদেরকে জিজ্ঞেস করো।

সূরা আমবিয়া আয়াত  ( ৭)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
وَاِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلٰۤٮِٕكَةِ اِنِّىۡ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنۡ صَلۡصٰلٍ مِّنۡ حَمَاٍ مَّسۡنُوۡنٍ‏﴾

 তারপর তখনকার কথা স্মরণ করো যখন তোমার রব ফেরেশতাদের বললেন, আমি শুকনো ঠন্‌ঠনে পচা মাটি থেকে একটি মানুষ সৃষ্টি করছি

সূরা হিজর আয়াত  ( ২৮)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇

وَمِنۡ اٰيٰتِهٖۤ اَنۡ خَلَقَكُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ اِذَاۤ اَنۡتُمۡ بَشَرٌ تَنۡتَشِرُوۡنَ‏﴾

 তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে তারপর সহসা তোমরা হলে মানুষ, (পৃথিবীর বুকে) ছড়িয়ে পড়ছো।

সূরা রুম আয়াত  ( ২০ )
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ صَلۡصٰلٍ كَالۡفَخَّارِۙ‏﴾
মাটির শুকনো ঢিলের মত পচা কাদা থেকে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।

﴿ وَخَلَقَ الۡجَآنَّ مِنۡ مَّارِجٍ مِّنۡ نَّارٍ‌ۚ﴾

আর জিনদের সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখা থেকে।

সূরা রহমান আয়াত  (১৪/১৫)
♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡

هُوَ الَّذِىۡ خَلَقَكُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَةٍ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخۡرِجُكُمۡ طِفۡلاً ثُمَّ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَشُدَّكُمۡ ثُمَّ لِتَكُوۡنُوۡا شُيُوۡخًاؕ وَمِنۡكُمۡ مَّنۡ يُّتَوَفّٰى مِنۡ قَبۡلُ وَلِتَبۡلُغُوۡۤا اَجَلاً مُّسَمًّى وَلَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ‏﴾

 তিনিই তো সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্র থেকে। তারপর রক্তের পিণ্ড থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুর আকৃতিতে বের করে আনেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ শক্তিতে উপনীত হতে পারো। তারপর আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হও। তোমাদের কাউকে আগেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। এসব কাজ করা হয় এজন্য যাতে তোমরা তোমাদের নির্ধারিত সময়ের সীমায় পৌঁছতে পারো  এবং যাতে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারো।

সূরা মুমিন আয়াত  ( ৬৭)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
وَمَا مَنَعَ النَّاسَ اَنۡ يُّؤۡمِنُوۡۤا اِذۡ جَآءَهُمُ الۡهُدٰٓى اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَبَعَثَ اللّٰهُ بَشَرًا رَّسُوۡلاً﴾

 লোকদের কাছে যখনই কোন পথনির্দেশ আসে তখন তাদের একটা কথাই তাদের ঈমান আনার পথ রুদ্ধ করে দেয়। কথাটা এই যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন?”

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত  ( ৯৪)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَةٍ مِّنۡ طِيۡنٍ‌ۚ‏﴾

আমি মানুষকে তৈরী করেছি মাটির উপাদান থেকে,

সূরা মুমিনুম আয়াত  (১২)
◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇◇
সকল মানব আদম সন্তন আর আদম সন্তান মাটির তৈরী,রাসূল সাঃ আদম সন্তান ছিল?

♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧

#হাদিসটি পড়ুন বুঝতে পারবেন

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا بِالآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ أَنْتُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ لَيَدَعَنَّ رِجَالٌ فَخْرَهُمْ بِأَقْوَامٍ إِنَّمَا هُمْ فَحْمٌ مِنْ فَحْمِ جَهَنَّمَ أَوْ لَيَكُونُنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجِعْلاَنِ الَّتِي تَدْفَعُ بِأَنْفِهَا النَّتْنَ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তোমাদের জাহিলী যুগের  মিথ্যা  অহংকার ও  পূর্বপুরুষদেরকে  নিয়ে গর্ব করার প্রথাকে বিলুপ্ত করেছেন। মু’মিন হলো আল্লাহভীরু আর পাপী হলো দুর্ভাগা। তোমরা সকলে আদম সন্তান আর আদম (আঃ) মাটির তৈরী। লোকদের উচিৎ বিশেষ গোত্রের ভুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র  করে অহংকার না করা। এখন তো তারা জাহান্নামের কয়লায় পরিণত হয়েছে। অন্যথায় তোমরা মহান আল্লাহর নিকট ময়লার সেই কীটের চেয়েও জঘন্য গণ্য হবে যে তার নাক দিয়ে ময়লা ঠেলে নিয়ে যায়।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫১১৬
হাদিসের মান: হাসান হাদিস।

No comments:

Post a Comment