Monday, February 19, 2018

এক বোন তার দাম্পত্য জীবনের প্রথম রজনী নিয়ে লিখছেন।


এক বোন তার দাম্পত্য জীবনের প্রথম রজনী নিয়ে লিখছেন।
... ... ...
উনি লিখছেন যখন উনার বহুল প্রতিক্ষীত স্বামীর সাথে প্রথম
সাক্ষাত হলো। তখন অনেক সাচ্ছন্দে, আনন্দ-উল্লাসে কথা বার্তা হলো। বহু প্রশ্ন-উত্তর ও হলো।
... ... ...
তবে তিনি নাকি তার পরম প্রিয় স্বামীর একটি প্রশ্নের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন যে, যখনই আমার স্বামী আমাকে ঐ প্রশ্নটা করবেন আমি বুক ফুলিয়ে গর্বের সাথে তার উত্তর দিব।
... ... ...
কিন্তু আফসোস ! তিনি আমাকে ঐ প্রশ্নটি করেন নি। অবশেষে আমি নিজেই আমার স্বামীকে প্রশ্ন করে বসলাম যে আপনি আমাকে অনেক প্রশ্ন করলেন উত্তর ও দিলাম । কিন্তু আপনি আমাকে এ ব্যাপারে কেন জানতে চাননি ?
স্বামীঃ কী প্রশ্ন তোমার ?
স্ত্রীঃ আমার জীবনে কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল কিনা বা কোন ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকতাম কিনা কিংবা আমার জীবনে কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল কিনা ?
'
স্বামী স্ত্রীর প্রশ্ন শুনে হেসে দিলেন।
স্ত্রীঃ আপনি হাসছেন!?
স্বামীঃ হুম !
স্ত্রীঃ কেন ?
স্বামী এবার বুক ফুলিয়ে উত্তর দিলেন। আমি তোমাকে এমন অযথা অনর্থক প্রশ্ন করতে যাব কেন? আমিতো মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সেই আয়াতে বিশ্বাসী যেই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
... ... ...
ﺍﻟﺨﺒﻴﺜﺎﺕ ﻟﻠﺨﺒﻴﺜﻴﻦ ﻭﺍﻟﺨﺒﻴﺜﻮﻥ ﻟﻠﺨﺒﻴﺜﺎﺕ .
ﻭﺍﻟﻄﻲّﺑﺎﺕ
ﻟﻠﻄﻴّﺒﻴﻦ ﻭﺍﻟﻄﻴّﺒﻮﻥ ﻟﻠﻄﻴّﺒﺎﺕ .
... ... ...
অর্থঃ প্রত্যেক দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং প্রত্যেক দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য। প্রত্যেক সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং প্রত্যেক সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য।
(সূরা নূর আয়াত ২৬ )
'
এবার স্ত্রী চুপ হয়ে গেলেন এবং উভয়ের রহস্য উদঘাটন হয়ে গেলো। এখন চিন্তা করি! আমি কী তাদের মত সচ্চরিত্রবান হতে পেরেছি? যদি হয়ে থাকি তাহলে তো ﺍﻟﺤﻤﺪﻟﻠﻪ , না হয়ে থাকলে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ এখন থেকেই চেষ্টা করবো। আল্লাহ পাক আমাদের তৌফিক দান করুন।

মহিলা ও ‍পুরুষের সালাত কি কোন পার্থক্য আছে?


মহিলা ও ‍পুরুষের সালাত কি কোন পার্থক্য আছে?
মহিলা ও ‍পুরুষের সালাত কি কোন পার্থক্য আছে?
রাসূল (ছাঃ) এর সালাত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছিল একথা ভাববার কোন অবকাশ নেই। পুরুষ ও মহিলা সালাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পর্থক্য নেই। সতর বা পর্দার যে বিষয়টি মেয়েদের সালাতের বিষয়ে বিভিন্ন নামায শিক্ষা বইতে এসেছে তা মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ পর্দার মধ্যে সালাত আদায়ের নির্দেশই যথেষ্ট। এতে নতুন করে যুক্তি পেশ করার প্রয়োজন নেই। আমাদের মধ্যে যঈফ ও জাল হাদীসের অনুকরণে সালাত চালু থাকার কারণে এবং বিভিন্ন মাযহাব পন্থীর গোড়ামীর কারণে বিভিন্ন নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। এজন্য আমাদের সমাজের মহিলারা কিংবা পুরুষেরা মনে করে, তাদের সালাত আলাদা। কিন্তু বাস্তবে পুরুষ মহিলাদের সালাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই এবং এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীসও বর্ণিত হয়নি
সালাত আদায় করার জন্য নারী পুরুষ কারোর জন্য স্বতন্ত্র নিয়ম করা হয়নি। জিবরাঈল (আঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ক্রমে দুই দফায় রাসূল (সাঃ)-কে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নিয়ম পদ্ধতি ইমামতি করে বাস্তবভাবে শিখিয়ে গেছেন। এ সময় জিবরাঈল (আঃ) নারীদের সালাতের জন্য আলাদা কোন নিয়ম পদ্ধতির বর্ণনা দেন নাই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষের জন্য এ নমুনা শিখানো হয়েছে। আল্লাহর নিয়ম পদ্ধতিতে কখনও কোন পার্থক্য দেখা যাবে না। এ মর্মে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“আর আপনি আল্লাহর নিয়ম-রীতিতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবেন না।” [সূরা-আহযাব : আয়াত-৬২]
(নারী-পুরুষ উভয় জাতির) উম্মতকে সম্বোধন করে রাসূল(ছাঃ) বলেছেন,“তোমরা সেইরুপ সালাত আদায় কর, যেইরুপ আমাকে করতে দেখেছ”। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৯)। উল্লেখ্য হাদীসটি উম্মে দারদা(রাঃ)থেকে বর্ণিত আছে।তিনি একজন ফকীহাও ছিলেন।
আলাদাভাবে বলা হয়নি। সুতরাং যে আদেশ শরীয়ত পুরুষদেরকে করেছে, সে আদেশ নারীদেরকেও করেছে। এবং যে সাধারণ আদেশ মহিলাদের তাও পুরুষদের ক্ষেত্রে পালনীয়- যদি বিশেষ হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার দলীল না থাকে। যেমন, “যারা সতী মহিলাদের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর চারজন স্বাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদের জন্য শাস্তি হল ৮০ কোড়া- ---। (কুরআন-২৪/৪)।
পরন্ত যদি কেউ কোন সৎ পুরুষকে অনুরুপ অপবাদ দেয়, তবে তার জন্য একই শাস্তি প্রযোজ্য। সুতরাং মহিলারাও তাদের সালাতে পুরুষদের মতই হাত তুলবে। পিঠ লম্বা করে রুকু করবে, তাশাহুদেও সেইরুপ বসবে, যেরুপ পুরুষরা বসে।